রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কারোনার বিস্তার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন: জাতিসংঘ

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২০, ০৩:০৩

সাহস ডেস্ক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কারোনার বিস্তার ঠেকানোর জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেজিক।

বৃহস্পতিবারই (১৩ মে) প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় গাদাগাদি করে শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মার্চ মাস থেকে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওরা সহায়তা করছে।

শুক্রবার (১৫ মে) জেনেভায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেজিক বাংলাদেশ সরকারকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পে অবস্থানরত একজন রোহিঙ্গা এই রোগে (করোনা) আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে আরেকজন স্থানীয় ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাপিড তদন্ত দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তি কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন, সেটি খতিয়ে দেখছে। রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের করোনা টেস্টিং শুরু হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

আন্দ্রেজ মাহেজিক বলেন, খুবই অল্প জায়গায় প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ বাস করছে। এটি একটি বড় ঝুঁকি। রোহিঙ্গা মানবিক সমস্যার জন্য যে যৌথ রেসপন্স পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের জন্য ২৬ শতাংশ অর্থ যোগাড় হয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে বসবাসরত আরও তিন রোহিঙ্গার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ৪ রোহিঙ্গাসহ জেলায় মোট ১৫১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোট ১৮৪ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করে তাদের ২৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সংগৃহীত কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোট ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জনকে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।

তবে নতুন শনাক্ত হওয়া তিনজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের কোন ক্যাম্পের বাসিন্দা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি সিভিল সার্জন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত