বৃহত্তম রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং লকডাউন

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২০, ০২:৫৫

সাহস ডেস্ক

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে বৃহত্তম রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্প কুতুপালং। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা প্রায় হাজার রোহিঙ্গাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার।

বৃহস্পতিবারই (১৩ মে) প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় গাদাগাদি করে শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এই তিনজন কতুপালং শরণার্থী শিবিরের একই ব্লকে থাকতেন এবং সেই ব্লকের ১২শ পরিবারকে এখন লকডাউন করা হয়েছে। এই ব্লকে ১২০০ পরিবারে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তি ও তার পরিবারের ছয় সদস্যকে মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা। সংক্রমণ রোধে ওই ব্লকের এক হাজার ২৭৫টি ঘর রেড মার্ক করে লাল পতাকা দিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। এসব ঘরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ রয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে মসজিদসহ আরও যেসব জায়গায় আক্রান্ত ব্যক্তি চলাচল করেছেন সেগুলো লকডাউন করা হবে।

সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান বলেছেন, আমরা গতকাল যে রোগী পেয়েছি, তাকে আইসোলেশনে নেয়ার পাশাপাশি, তার পরিবারের ছয়জন সদস্যকে শিবিরের বাইরে কোয়রেন্টিনে রেখেছি। আর উনি যে ব্লকে ছিলেন, সেই ব্লকের আরও দু'জন রোহিঙ্গা শনাক্ত হওয়ার পর তাদেরকেও আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। ব্লকটিতে ১২শো রোহিঙ্গা পরিবারকে একেবারে লকডাউনে রাখা হয়েছে। মানে সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা থাকছে।

এদিকে শরণার্থীদের ক্যাম্পগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে এমন আশঙ্কায় গত ১১ মার্চ থেকে কক্সবাজারের ঘিঞ্জি রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এর মধ্যেই করোনা সংক্রমণ ঘটলো।

কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় তিন রোহিঙ্গাসহ ১৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে মারা গেছেন একজন। তিনি রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, করোনা রোধে ক্যাম্পে সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন নিশ্চিতে পুলিশ সেখানে আরও টহল বৃদ্ধি করবে। ইতোমধ্যে করেনা আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের সংস্পর্শে আসা পরিবার ও অন্য ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতসহ জায়গাগুলো লকডাউন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত