খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কোন জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২০, ০১:২০

সাহস ডেস্ক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবী স্তব্দ হয়ে গেছে। সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গেছে। বৈশ্বিক এই দুর্যোগের কারণে পৃথিবীতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু মহান স্রষ্টা বাংলাদেশকে উর্বর জমি দিয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের কোন জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না।’

আজ ৮ মে (শুক্রবার) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সবজি বীজ, রিপার মেশিন ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, আমরা যেন এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি না রাখি। সেই লক্ষ্য নিয়েই সমগ্র বাংলাদেশে সরকার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশকসহ নানা ধরণের কৃষি যন্ত্র ভর্তুকিতে বিতরণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা যদি অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে পারি সেক্ষেত্রে অন্যদেরকেও সহায়তা করা যাবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, সেই খাদ্য ঘাটতির দেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর হয়েছে। সরকার কৃষিতে নানাবিদ ভর্তুকি দেয়ার এবং বীজ ও কীটনাশকের নিশ্চয়তা বিধান করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় প্রচুর শাক সবজি উৎপাদন হয়, সারা বাংলাদেশেই শাক সবজির প্রচুর ফলন হয়। আমাদের জমিতে তিনবার ফসল হয়। কোন কোন জমিতে চার ফসলও আবাদ হয়। সেজন্য কৃষকদের মাঝে নানা ধরণের সবজি বীজ বিতরণ করেছি। যাতে তারা শাক সবজি ফলাতে পারেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেবারে গ্রাম পর্যায়েও যাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদগুলোকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীগুলো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এই কর্মসুচির আওতায় একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কর্মসুচি গ্রহণ করেছে সরকার।’

স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর সঠিক বিতরণ যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া উপজেলা করোনা থেকে এখনো অনেকটা সুরক্ষিত আছে। স্রষ্টার কাছে আমরা প্রার্থনা করি যেন আমাদের দেশকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রাখে। সেটি করতে হলে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীগুলো সঠিকভাবে বিতরণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আমরা নিজেদেরকে সুরক্ষা করতে পারবো।’

জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে, বীজ সার কীটনাশক একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছানোর, সেগুলো যেন নিশ্চিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোন কৃষক যাতে কোন জমি অনাবাদি না রাখে। প্রত্যেকে প্রত্যেককে যেন উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং নিজেদের জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।

সূত্র: বাসস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত