কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২০, ১৬:৫৩

কুষ্টিয়া কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায় কয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা এই নিয়ে চলছে  নানা গুঞ্জন।

 এলাকাবাসী জানায় একই এলাকার জসিম মালিথার ছেলে লিমন মালিথার সাথে জিয়ারুল ওরফে জিয়ার মেয়ে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া জয়ার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। হটাৎ করে জয়ার গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বা হত্যার বিষয়টি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এবং লাশের পাশেই জয়ার ব্যবহৃত পোষাকের ব্যাগ পাওয়া যাওয়ায় বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। 

মেয়ের বাবা জিয়ার জানায়, তার মেয়ে জয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এটা তারা জানেন। আজ গভীর রাতে তার মেয়েকে লিমন ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন রাত ১ টার দিকে মেয়েকে ঘরে  দেখতে না পেয়ে লিমনের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে তাকে বাড়িতে দেখতে পান। তার মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করলে তারা জানেনা বলে জানায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করে জয়াকে না পেয়ে ভোর রাতে তার বাড়ির পিছনে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তিনি দাবী করেন লিমন তার মেয়েকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
 
অপরদিকে ছেলের বাবা জসিম মালিথা জানায় জয়ার সাথে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৭/৮ মাস পূর্বে জানতে পেরে সে মেয়ের বাবা জসিমের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জয়া সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বর্তমানে  লেখাপড়া বাদ দিয়েছে কিন্তু তার বয়স (১৬) বছর হওয়ায় কিছুদিন অপেক্ষা করে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেবার কথা বললে জিয়ার বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায়। আজ গভীর রাতে মেয়ের বাবা সহ কয়েকজন আমার বাড়িতে তার মেয়েকে ও লিমনকে খুঁজতে আসে সে সময় লিমন তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। তিনি বলেন বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ার কারনেই তার মেয়ে আত্নহত্যা করেছে।
 
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা লাশ পোষ্ট মর্টেম হয়ে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত