ঢাকায় কেও যেন প্রবেশ বা বের হতে না পারে: আইজিপি

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৪:৪২

অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া ঢাকা থেকে যাতে কোনও লোক বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরে থেকে কোনও মানুষ যাতে ঢাকায় আসতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুরোধের পর এই নির্দেশনা দেন আইজিপি।

এমন সময় পুলিশ এই উদ্যোগের কথা জানাচ্ছে, যখন বাংলাদেশের লকডাউন উপেক্ষা করে শনিবার হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে ঢাকায় প্রবেশ করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার এক পর্যায়ে গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বদলে আবার ছুটি বাড়িয়ে দেবার ঘোষণা দেয় মালিকদের সংগঠন। কিন্তু ততক্ষণে বহু শ্রমিক পায়ে হেঁটে, পন্যবাহী যানবাহনে চড়ে ঢাকায় ঢুকে পড়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইজিপি সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে যারা ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন, তাদের আমরা আটকে দিয়েছি এবং নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছি। এছাড়া নতুন করে জড়ো হয়ে কাউকে ঢাকার দিকে রওনা হতে দিচ্ছি না আমরা।

সোহেল রানা জানান, শনিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার আশেপাশে অবস্থিত তৈরি পোশাক ও অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলের দিকে আসতে থাকার সময় জনসমাগমের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ, রেঞ্জ পুলিশ ও জেলা পর্যায়ের পুলিশ সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সাথে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথমে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাসে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে মানুষের জনসমাগম ও অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া ঠেকাতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে। এরই মধ্যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলার খবরে শনিবার রাজধানী অভিমুখে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে। যদিও পরে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।