থানা হেফাজতে মৃত্যু, ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৫
বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে রহস্যজনকভাবে মারা যান হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদার। এই ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) মামলার এজাহারকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে বরগুনার পুলিশ সুপার তার সরকারি ই-মেইল থেকে আমাকে মামলা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান যে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তা আমরা নথিভুক্ত (এফআইআর) করেছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, শানুর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারা মোতাবেক বরগুনার পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ ই-মেইল করি। পরে বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে বরগুনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমতলী থানার প্রত্যাহার হওয়া সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়। এজাহারভুক্তের বিষয়টি বরগুনার পুলিশ সুপার তার সরকারি ইমেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে দেশে অনলাইনে মামলা হওয়ার ক্ষেত্রে এটাই প্রথম নজির হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। থানা থেকে শানু হাওলাদারের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না পেয়ে শানুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, শানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় ওই আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। ময়নাতদন্ত শেষে ২৬ মার্চ রাত ১১টার দিকে শানু হাওলাদারের মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।