‘ছুটির মেয়াদ সীমিত বাড়বে, বন্ধ থাকবে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান’

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৪:১৪

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরো কয়েকদিন বাড়াতে হতে পারে। কারণ অনেকে গ্রামে চলে গেছেন। সেখানে কোনো রকম যেন এ রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় সে সময়টা হিসেব করে- আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন করতে হবে। ৯ তারিখ পর্যন্ত হতে পারে। ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের একটু বাড়াতে হবে।’

আজ ৩১ মার্চ (মঙ্গলবার) গণভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান। এ সময় করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্য দ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জন প্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যাতে সাহায্য পায়। কেউ যাতে বাদ না পড়ে।’

এ সময় দেশের করোনা পরিস্থিতিতে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাহায্য দিতে গিয়ে লোক সমাগম করতে বারণ করেছেন। দরকার হলে বাড়ির কাছে গিয়ে সাহায্য দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকেরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাঁদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজারে যেন পর্যটক না যেতে পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। আর রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে আমাদের বড় চিন্তা। সেখানে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পরে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৭ই মার্চ এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’

সরকারর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত দেশে ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। মোট ১ হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত