করোনা চিকিৎসায় বিশেষভাবে প্রস্তুত 'কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল': স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২০, ১৫:৩৬ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০, ১৬:৪০
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় 'কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল'কে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৯ মার্চ) সংবাদসংস্থা ইউএনবি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর ‘টপ ফ্লোরে’ করোনা ওয়ার্ডগুলো করা হয়েছে। রোগী বেশি হয়ে গেলে কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলার হাসপাতালে দুটি করে আইসিইউ যাতে থাকে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো রোগীর খোঁজ পেলেই কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যারাই আসছেন তাদের তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে এবং পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকুরি করেন, তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসবেন না বা যাবেন না। যাতায়াতটা সীমিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশ যেভাবে চিকিৎসা দিচ্ছে, আমরাও সেভাবে ব্যবস্হা নিবো। তবে না ছড়ানোর ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু একটি স্পেশাল হসপিটাল তৈরি রেখেছি। সে হসপিটাল থেকে চিকিৎসা দিলে ভাইরাসটি ছড়াবে না। সেখানে অন্য কোন বিষয়ের রোগী বা মানুষ যেতে পারবে না। ফলে ছড়ানোর আশঙ্কা কম।
মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য চীন বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা স্বরুপ ৫০০ কিটস দিয়েছে। আমাদেরও ২ হাজার কিটস রয়েছে। সব মিলিয়ে আড়াই হাজার কিটস হলো। কিটসের কোনো অভাব হবে না। আরও কিটস পাইপ লাইনে আছে এবং করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে ৮টি মেশিন রয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় চীনের অভিজ্ঞতা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা একটি ট্রিটম্যান্ট প্রটোকল তৈরি করেছি। চীন সরকারও তাদের দেশে ট্রিটমেন্ট প্রটোকল আমাদের দিয়েছে। সে অভিজ্ঞতাও আমরা কাজে লাগাবো। সংকট মোকাবেলায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দেশের সকল ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনদের এলার্ট থাকতে বলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।