পাপিয়াকাণ্ড: ১৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নজরদারিতে

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৬ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৮

অনলাইন ডেস্ক

পাপিয়া ও স্বামী মতি সুমনসহ গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের যাচাই-বাছাই চলছে। এরই মধ্যে অন্তত ১৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। তারা কোথায় যাতায়াত করেন, কাদের সঙ্গে সময় কাটান এসব বিষয়ের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। পরবর্তী সময়ে তাদের প্রত্যেকের আমলনামা পাঠানো হবে শীর্ষ মহলে।

জানা যায়, ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাটে পাপিয়া প্রায় রাতেই ককটেল পার্টি বসাতেন। সেখানে আনাগোনা ছিল বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির। পরে সেখান থেকে পছন্দ অনুযায়ী সুন্দরী যুবতীদের নিয়ে যেতেন তারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, দেখুন, আমরা বুঝতে পারছি, পাপিয়া অনেক কিছুই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, ইন্ধনদাতার তালিকায় কারা, তার অর্থের উৎস কী, একই সঙ্গে তার অপরাধ কর্মকাণ্ডের তালিকা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা থাকবে।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্যে দিয়েছেন। বলেছেন মদদদাতাদের নাম। এদের মধ্যে যুব মহিলা লীগের তিন নারীনেত্রীর বিষয়ে এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। এরাই তাকে রাজনীনিতে প্রবেশ ও বড় পদ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন। এ ছাড়া পাপিয়ার কললিস্টে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও প্রশাসনের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তার নাম পাওয়া যায়।

একাধিক সূত্র বলছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মনোরঞ্জনের জন্য পাপিয়ার কাছে সুন্দরী নারী চাইতেন ক্যাসিনো অভিযানের সময় গ্রেপ্তার টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীমসহ আরও কয়েকজন টেন্ডারবাজ। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দরীদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে। ওই সুন্দরীদের মাধ্যমে টেন্ডারবাজরা হাসিল করে নিতেন বড় বড় টেন্ডার।

আরও জানা যায়, পাপিয়া ওই সুন্দরীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাদের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ কিংবা অন্যান্য সামগ্রীতে পাপিয়া কৌশলে লাগিয়ে দিতেন অত্যাধুনিক ডিভাইস। সেই সব ডিভাইসে ধারণকৃত মনোরঞ্জনের দৃশ্যগুলো পরবর্তী সময়ে কাজে লাগাতেন লেডি মাফিয়া পাপিয়া। এ ছাড়া হাই সোসাইটির খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী পাপিয়া তার সংগ্রহে রাখতেন রুশ ও থাই সুন্দরী নারী। চাহিদা ও রেট মিলে গেলে পাপিয়া তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন।