বিরোধীদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয় দুদক: টিআইবি

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৫৪

অনলাইন ডেস্ক

বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবহৃত হচ্ছে বলেছে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ফলোআপ গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।

দুদকের কার্যক্রম ও ক্ষমতার ব্যবহারের কারণে এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয় প্রদর্শনের প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে।

সংস্থাটির মতে, দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। কারণ দুর্নীতির ঘটনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ আচরণ পেতে সমর্থ হয়নি। কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সকলের বিরুদ্ধে সমানতালে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের সাড়া প্রদানের হার কম উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৬-২০১৮ সালে মোট ৪৭ হাজার ৫৪৯টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ২০৯টি অভিযোগ (৬.৭৫%) অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়। অথচ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এই হার ৬৬ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, গত তিন বছরে (২০১৬-১৮) নিস্পত্তি হওয়া ৮৫৭টি মামলার মধ্যে মোট ৪৯৫টি মামলায় সাজার রায় হয়েছে। এ ধরনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুদকের নিরপেক্ষতার বিষয়ে মানুষের ধারণা খুব ইতিবাচক নয়। দুদকের কর্মকর্তাদের ওপর আস্থার অভাব রয়েছে।

টিআইবি বলছে, জনগণের ধারণায় দুদক ক্ষুদ্র দুর্নীতির ওপর বেশি মনোযোগী এবং বড় দু্র্নীতিবাজ ধরার ক্ষেত্রে দুদকের দৃশ্যমান সাফল্য নেই।