বিটিআরসি-কে আজ এক হাজার কোটি টাকা দিবে গ্রামীণফোন

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৪

সাহস ডেস্ক

আদালতের নির্দেশনা মেনে আজ এক হাজার কোটি টাকা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি-কে দিবে মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন।

প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থাকে সম্মান করে গ্রামীণফোন। একই সাথে বিটিআরসি প্রতিষ্ঠান ও এর ব্যবস্থাপনার উপর যে চাপ অব্যাহত রেখেছে তা থেকে আদালতের সুরক্ষাও চায়।

গ্রামীণফোন তাদের বিবৃতিতে বলছে, বিটিআরসির কিছু পদেক্ষেপ তাদের ভোক্তা ও ব্যবসায়ী অংশীদারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে আছে অনাপত্তিপত্র না দেয়া, লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ, নম্বর সিরিজ রিসাইকেল করার অনুমোদন না দেয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিতে একজন প্রশাসক নিয়োগেরও হুমকী দেয়া।

গ্রামীণফোন বলছে, এসব কারণে ভোক্তারা তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়েছে। এদিকে টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির দাবি, গ্রামীনফোন এবং রবি, এই দুইটি টেলিকম কোম্পানির কাছে ২০ বছরে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে সংস্থাটির। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা।

যদিও মোবাইল কোম্পানি দুটো বলেছে, টাকার অংক নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির করা পাওনা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি দাখিল করা এক রিভিউ পিটিশনে ৫৭৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন আপাতত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কত টাকা দিতে পারবে তা জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি।

প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে গ্রামীণফোনকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। এই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে। এরপর গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করে। পরে ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।

আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই মাসের জন্য গ্রামীনফোনের কাছ থেকে টাকা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত