সহমর্মী বার্তা দেওয়ায় বাংলাদেশকে চীনের কৃতজ্ঞতা

করোনাভাইরাসে চীনে মহামারি দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় চীনকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে এক চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী চীন।

১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ান তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক প্রোফাইলে এক বার্তায় জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সহমর্মী বার্তা যথাযথ মাধ্যমে তার দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে চীনকে পাঠানো চিঠিতে উহান শহর ও অন্যান্য স্থানে ‘করোনা ভাইরাস’ সংক্রমণে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আক্রান্তদের দুর্দশা লাঘবে যেকোন ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। চিঠিতে চীনকে যে কোন ধরণের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে চীন সরকার সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি মোকাবেলা করতে এবং থামাতে সক্ষম হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংকট নিরসনে একটি টাস্কফোর্স গঠন ও জরুরি হাসপাতাল স্থাপন সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ সরকার আক্রান্তদের দুর্দশা লাঘবে যে কোন ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

শেখ হাসিনা প্রশংসা করে আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শির গতিশীল নেতৃত্বের কারণে চীন উন্নয়নের বিশ্ব মডেল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে এশীয় অঞ্চলে আপনার অবদান সত্যই প্রশংসার দাবিদার।’

প্রধানমন্ত্রী এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া ও আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে চীনে বসবাসরত প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিককে সুরক্ষা দেয়ায় চীনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় ‘মুজিব বর্ষ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি তাঁর আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেন।

খবর- একুশে টেলিভিশন