২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা: ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ সাত শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার।

অব্যাহতি প্রাপ্ত সাতজন হলেন, নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও একই স্কুলের শিক্ষক আবদুল আহাদ, চাঁদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম জিলানি ও আরে কল সুপার খাটিঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান পাঠান। দুটি কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল মিয়া ও মনির হোসেন এবং আজকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজীব সরকার ও জিয়াউর রহমান।

ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিজয়নগরের ইউএনও মেহের নিগার বলেন, ঘটনাটি উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব গোপন করে রেখেছিলেন। দুপুরে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। বিকেলে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবসহ চারজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

কমিটির প্রধান হচ্ছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ মিলন হালদার। অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন।

প্রসঙ্গত, বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত সোমবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের বদলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নপত্রেই পুরো পরীক্ষা দেয়।

বিষয়টি কেন্দ্রসচিব গোপন রেখেছিল। গতকাল দুপুরে পরীক্ষার্থীদের একজনের অভিভাবক বিষয়টি ইউএনওকে জানান। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে কেন্দ্র সচিব, দুজন হল সুপার ও দুটি কক্ষের চারজন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।