রোহিঙ্গাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে: আশা আইসিসি'র

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০৬

সাহস ডেস্ক

শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ডিরেক্টর ফাকিসো মোচোচোকো। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে, যদিও তদন্ত প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক ব্রিফিংয়ে কার্যালয়ের জুরিসডিকশন, কোঅপারেশন ও কমপ্লিমেন্টারি’র পরিচালক ফাখিসো মচোচোকো সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ফাকিসো মোকোচোকো বলেন, আমরা এখন বলতে পারবো যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। মিয়ানমার নিজেই অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এখন আমাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে—কে অপরাধ করেছে, কে অপরাধ করতে সহায়তা করেছে? অপরাধ ব্যক্তি করে। যদি কোনও নির্যাতন হয়ে থাকে, সেটি ব্যক্তি করে, কোনও হত্যা হলে সেটি ব্যক্তি করে, কোনও ধর্ষণ হলে সেটিও ব্যক্তি করে। আইসিসির কাছে প্রশ্ন হচ্ছে—ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা কারা? আমরা প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছি যাতে নির্দিষ্টভাবে বলতে পারি কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা অপরাধ করেছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তদন্ত- বিচার দুইটি ভিন্ন বিষয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিষয়। তবে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তদন্ত ও বিচার আলাদা ইস্যু। প্রত্যাবাসনে দেরি হলেও তদন্ত-বিচার প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আইসিসির বিচারকরা মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের জন্য আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদার অনুরোধ অনুমোদন করেন।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রোমের বিধিমালার অধীনে আইসিসি প্রসিকিউটর কার্যালয়ের (ওটিপি) চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। বর্তমানে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে, যাদের বেশিরভাগ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা রোধে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে গত ২৩ জানুয়ারি নির্দেশ দেয় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

আইসিজে সভাপতি বিচারপতি আবদুলকাউই আহমেদ ইউসুফ বলেন, আইসিজির অভিমত হচ্ছে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে এখনও অতিশয় অরক্ষিত অবস্থায় আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত