দেশে আসতে চান আরও ১৭১ বাংলাদেশি

উহান যাওয়া বিমানের পাইলট-ক্রুদের অন্য দেশ ঢুকতে দিচ্ছেনা

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৫৪

সাহস ডেস্ক

চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের আনতে বাংলাদেশ বিমানের যে উড়োজাহাজটি গিয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের অন্য কোনো দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল হুবেই গিয়েছিল সেটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হুবেই থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। নতুন করে যারা আসতে চাইছেন, তাদের চীনের কোনো এয়ারলাইনসের ভাড়া করা বিমানে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক করোনাভাইরাসকে আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে। যারা চীনের উহান থেকে আসবে তাদের সবাইকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।

তিনি বলেন, যে ৩১২ জন আসছে তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেয়া হচ্ছে। ইনিশিয়ালি তারা বোধ হয় বুঝতে পারেনি তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছে ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বুঝানো হলো এটা তো হাইলি রিস্কি।

অন্যান্য সকল দেশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ডাবল চেকআপ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকক ও হংকংয়ে খুবই স্ট্রিক। কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর হয়ে যারা আসে তাদের তো একটা ন্যাচারাল প্রটেকশন হয়। একবার সেখানে স্ক্যানিং হয়। এজন্য আমরা প্রটেকশন পাই। তারপরও আমাদের এখানে ডাবল প্রটেকশন সিস্টেম আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত