পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ চীনা নাগরিককে কোয়ারেন্টাইন

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:১১ | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৫৮

অনলাইন ডেস্ক

পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীন থেকে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরা ২০ জন চীনা নাগরিককে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী এবং তাদের কারো মধ্যেই এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহ মনি জিকো বলেন, সম্প্রতি চীনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন চীনা নাগরিকদের একটি অংশ। এদের মধ্যে থেকে জানুয়ারি মাসের ২৩, ২৬ এবং ৩০ তারিখে মোট ২০জন ফেরত এসেছেন বাংলাদেশে। তাদের চীনে এক দফা এবং বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। দুই জায়গার কোথাও তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। তারপরেও সতর্কতা হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি আলাদা ভবনে তাদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা।

তিনি আরও বলেন, তারা অন্যদের থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন, এবং ঐ ভবনের বাইরে বের হচ্ছেন না। প্রতিদিন বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সরকারী চিকিৎসকেরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। প্রত্যেককে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, যা পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নামে পরিচিত, সেখানে মোট ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে দুই হাজার সাতশো জন চীনা শ্রমিক ও প্রকৌশলী রয়েছেন।

এর আগে জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে একটি বৈঠক করে একটি সতর্কতা জারি করে। এতে চীনা থেকে সম্প্রতি ভ্রমণ শেষে ফিরেছেন এমন নাগরিকদের যত্রতত্র চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, আমরা কেবল চীনা নাগরিক নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রর সব কর্মীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার উপসর্গ বা লক্ষণসমূহ এবং করণীয় সম্পর্কে আলাদা সেশন করেছি। সেই সঙ্গে কলাপাড়া সরকারি হাসপাতালে দুইটি বেড আলাদা করে প্রস্তুত করে রেখেছি, যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে যেন তাদের চিকিৎসা দ্রুত দেয়া সম্ভব হয়।