সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করে উল্টো জিডি করলেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৫০

সাহস ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পর উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম খান রিয়াদ। জিডিতে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা কেন্দ্রে ‘বিএনপি জামাতের এজেন্ট হিসেবে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেন’।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি সংবাদ ও পেশাদার তিন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তিনি গেন্ডারিয়া থানায় এ জিডি করেন।

ওই তিন সাংবাদিক হলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার মাহবুব মমতাজি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্টার নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও দিন প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টার পাপন।

এ বিষয়ে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বলেন, যখন জিডিটি হয়েছে তখন আমি থানায় ছিলাম না। ডিউটি অফিসার এ জিডি নিয়েছেন।

জানা যায়, শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গেন্ডারিয়া থানাধীন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের বুথে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট প্রদান শেষে দুই ভোটারকে বের করে দেন কোমরে অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ। ওই দুজন বারবার অনুরোধ করে বলছিলেন, আমরা নৌকার সমর্থক এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিতে চাই। এ সময় রিয়াদ তাদের বলেন, নৌকায় ভোট হয়ে গেছে, চলে যান।

সাংবাদিক নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা ওই দুই ভোটারের ছবি তুলি এবং তাদের মতমত নিই। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ এসে আমাদের জামার গলার ধরে টানাহেঁচড়া এবং ভোট পরিদর্শন কার্ড ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রিয়াদ তার সহযোগীদের দিয়ে আমাদের জোরপূর্বক আটকে রেখে আমাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। আমরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ থাকি। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য আমরা কেন্দ্র ইনচার্জ গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফকে বিষয়টা জানাই। কিন্তু তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে কিছু বলতে পারব না।

পরে সাংবাদিকরা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যান। কিন্তু তিনিও এক্ষেত্রে অপরাগতা প্রকাশ করেন। সবশেষে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ ও তার সহযোগীরা দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনারের (এসি) উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের মোবাইলের যাবতীয় তথ্য মুছে দেন। এরপর মোবাইল ফোন দিয়ে দেন। এ বিষয়ে পরদিন সব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সুত্র: জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত