ঢাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৩৬

সাহস ডেস্ক

দুই সিটির নির্বাচনে যারা নৌকায় ভোট দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের জয়যুক্ত করেছেন তাদের ধন্যবাদ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা নৌকায় ভোট দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের জয়যুক্ত করেছেন।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইডিইবি’র ২৩তম জাতীয় সম্মেলনে  প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় বাংলাদেশের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলির কথা বলা হতো। সেই বাংলাদেশ আর নেই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। এ বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশ নয়। আমাদের একটি লক্ষ্য আছে, সেটি পূরণ করতে চাই। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণভবন জনগণের  ভবন। আপনাদের জন্য সবসময় এর দ্বার উন্মুক্ত। আগে জানালে এ সম্মেলন গণভবনে আয়োজন করা যেত। আগামী সম্মেলনে গণভবনে আপনাদের দাওয়াত থাকলো।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা, জলাধার রক্ষা, গাছ লাগানোসহ দেশের উন্নয়নে আপনারা কাজ করবেন। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট করছি। ইতোমধ্যে ১০০টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা। স্বাধীনতার পরে কালভার্ট, ব্রিজ ও স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অর্থাৎ ধ্বংসপ্রাপ্ত একটা বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য সবকিছুতেই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা দাবিসমূহ যথাযথভাবে জানানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে যদি ইনক্রিমেন্টসহ দাবি সামনে আনা যায় তাহলে কিছু একটা সমাধানের ব্যবস্থা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতর্বষ পালনের নানা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করুন। আপনারা সারাদেশে কাজ করেন সেটা লক্ষ্য করতে হবে। আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ছি যাতে করে কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের দেশে বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী বাস করে। খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি গৃহহীন মানুষ বসবাসের উপযোগী একটি ঘর পাবে মুজিববর্ষে সেটি আমাদের লক্ষ্য। মানুষের মৌলিক চাহিদা একে একে পূরণ করছি। আপনাদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন যেন ভালোভাবে হয় সেটি লক্ষ্য করবেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়রদের কাজের ক্ষেত্র বাড়বে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত