আগামীকাল মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৫

সাহস ডেস্ক

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা। শেষমুহূর্তে বেশ জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। শেষবারের মতো ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন তারা।

সড়কে সড়কে চলছে মাইকিং, মিটিং মিছিলে ব্যস্ত বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরা। দুই সিটিতে মেয়র প্রার্থী ১৩ জন। উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ভোটের মাঠে আছেন। দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

প্রচারণার শেষদিকে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নানা প্রতিশ্রুতি আর কথামালায় ভোটারের মন জয় করে প্রত্যেক প্রার্থীই চাচ্ছেন ভোটের মাঠে জয়ী হতে। ইতিমধ্যে দুই সিটিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে নির্বাচনি আমেজ সৃষ্টি হলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ভোটাররা। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অনেক জায়গায় ইসির কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের দোরগোড়ায় ছুটছেন। তীব্র শীতেও থেমে নেই প্রার্থীদের প্রচার। দলীয়ভাবে শুধু মেয়র পদে নির্বাচন হলেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কাউন্সিলর পদেও দলীয় মনোনয়ন দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করে তুলেছেন।

এদিকে প্রচারের শেষ মুহূর্তে এসে অবৈধ প্রচারসামগ্রী অপসারণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে ইসি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জরুরিভিত্তিতে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে। ভোটগ্রহণ শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায়। এক্ষেত্রে প্রচার বন্ধ করতে হবে ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টায়।

বিধি অনুযায়ী ‘কোনো নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করা এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।

উক্ত সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না। উল্লেখিত আইন ভঙ্গ করলে তিনি ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত