দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত: টিআইবি

দুর্নীতির ধারণা সূচক বা করাপশান পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ২৬, যা গত বছরের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ১০০ মানদণ্ডে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর ২৬। ২০১৮ সালেও একই স্কোর ছিল। এই তালিকার ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম, যা ২০১৮ এর তুলনায় ৩ ধাপ উন্নতি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও গবেষণা উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

তালিকায় নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম, যা গত বছরের তুলনায় একধাপ উন্নতি। এবছর একই স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিম্নক্রম থেকে একই অবস্থানে আরও রয়েছে অ্যাঙ্গোলা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইরান, মোজাম্বিক ও নাইজেরিয়া।

টিআই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিআই-২০১৯ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিপিআই ২০১৯ অনুযায়ী, ১০০ এর মধ্যে গড় স্কোর ৪৩। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর ২৬ হওয়ায় দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনও উদ্বেগজনক। সূচকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে তা সন্তোষজনক নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণসহ সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে কঠিনতম অন্তরায় দুর্নীতি। কিন্তু দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র। ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি ও তা প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে দেশ বা জনগণকে কোনোভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।

সূচকে ৮৭ স্কোর পেয়ে কম দুনীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। ৮৬ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং তৃতীয় স্থানে ৮৫ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।

৯ স্কোর পেয়ে গতবারের মতো এবারও তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে সোমালিয়া। ১২ স্কোর পেয়ে তালিকায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান এবং ১৩ স্কোর পেয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে সিরিয়া।