আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা ঢাকা মহানগর আদালতে

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৩০

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার নথি ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহানগর আদালতের সেরেস্তাদার মামলার নথিটি রিসিভ করেছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তত হওয়ায় বদলির আদেশ দেন।

মহানগর আদালতের সেরেস্তাদার মামলার নথিটি রিসিভ করে বিচারককে জানিয়েছেন। বিচারক মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের (অভিযোগ গঠন) জন্য খুব শিগগির দিন ধার্য করবেন।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় পলাতক চার আসামি মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।

গত ৫ জানুয়ারি আদালত চারজন পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশে পুলিশকে আদেশ দিয়ে বলেছিল, ১৩ জানুয়ারির মধ্যে তারা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হবে।

১৮ নভেম্বর ওই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো.ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহার নামীয় ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রের ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দতালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলো মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

এজাহারবহির্ভূত ৬ জন হলো ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও রাফি। এর মধ্যে ১৬ জনের নাম হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিল। বাকিদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত