মন্ত্রী-এমপিদের ভোটের প্রচার নিষিদ্ধে পরিপত্র চান মাহবুব তালুকদার

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৪

সাহস ডেস্ক

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় ও কার্যক্রমে মন্ত্রী এম‌পি‌দের প্রচার নিষিদ্ধ কর‌তে পরিপত্র জারির দাবি জানালেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও উত্তর-দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং অফিসারকে ইউও নোটে এই দাবি করেন তিনি।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয় নোটে ইউও নোটে (আনঅফিসিয়াল নোট) তিনি এ দাবি করেন।

নোটে মাহবুব তালুকদার বলেন, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় ও কার্যক্রমে সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করছেন বলে বিগত ৯ জানুয়ারি ইউ, ও নোটের মাধ্যমে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে আমার সেই উদ্বেগ বর্তমানে আরও ঘণীভূত হয়েছে। কারণ গত কয়েকদিনে বিধিমালা নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি মনে করি, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যেকোনো কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। এ বিষয়ে আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ সালের বিধান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সর্বাধিক দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিধিমালা যারা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় ও কার্যক্রমে সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করছেন বলে বিগত ৯ জানুয়ারি ইউ, ও নোটের মাধ্যমে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে আমার সেই উদ্বেগ বর্তমানে আরও ঘণীভূত হয়েছে। কারণ গত কয়েকদিনে বিধিমালা নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি মনে করি, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যেকোনো কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। এ বিষয়ে আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ সালের বিধান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সর্বাধিক দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিধিমালা যারা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।

তিনি বলেন, বিধিমালা নিয়ে যাতে বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করা ‘অত্যাবশ্যক’। না হলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন আস্থার সংকটে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত