এনামুল-রূপনের ৯১ অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকা, ২২ জমি-বাড়ি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১১

সাহস ডেস্ক

ক্যাসিনো কারবারি দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে পৃথক অভিযানে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৯টি মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের হওয়া মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ৯টির মধ্যে চারটি এজাহারে এই দুই জনের নাম রয়েছে। মামলার তদন্ত করে আমরা তাদের এক সহযোগীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সিআইডির তদন্তে ও তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দুই ভাইয়ের সম্পত্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এই দুইজনের মোট ২২টি জমি ও বাড়ি রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়ি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে দু’জনের বাড়িতে অভিযানের সময় ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি সেগুলো ব্ল্যাকমানি (কালো টাকা)। দেশের বাইরে পাচার করতে তারা সেগুলো রেখেছিলেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় তারা সেখান থেকে পালিয়ে কক্সবাজার যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বোটে অবৈধভাবে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর। তবে সেখানে যেতে ব্যর্থ হয়ে নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। এজন্য তারা ঢাকায় এসে কেরানীগঞ্জে মোস্তফা নামের এক সহযোগীর বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে বেনামী পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন দুই ভাই। বেনামী পাসপোর্ট ও ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার জন্য মোট ৪০ লাখ টাকা সাথে রেখেছিলেন তারা। তাদের গ্রেফতারের সময় এই ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে ৫ কোটির বেশি টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণ ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় ৭টি মামলা হলেও এখনও এনু-রুপন এবং তাদের দুই সহযোগী হারুন অর রশিদ ও আবুল কালাম গা ঢাকা দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত