জলবায়ু অভিবাসীদের থাকা ও জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০১

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট অভিবাসী সমস্যা সমাধানের যুতসই কর্মকৌশল তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আলোচনার পথ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের লোকেরা আমাদের কোনো দোষের জন্য বাস্তুচ্যুত হবে না ... তাই আমরা আশা করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থাকার ব্যবস্থা ও জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব বহন করবে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী স্পেনের রাজধানী ফেরিয়া দে মাদ্রিদে (আইএফইএমএ) "অ্যাকশন ফর সারভাইবাল: ভালনারেবল নেশনস কপ২৫ লিডারস" শীর্ষক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, কেননা এ স্থানান্তরও একটি কার্যকর অভিযোজন কৌশলের মধ্যে হতে পারে যা আমাদেরকেই সমর্থন করতে হবে। সুতরাং, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে তাদের স্থানান্তর এবং সুরক্ষা বিষয়টি বিশ্বব্যাপী যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি যুতসই কর্মকৌশল তৈরির বিষয়ে আলোচনা শুরু করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অবদানসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সব অর্থায়ন চুক্তি অনুসারে ক্ষতিপূরণ অনুসারে হতে হবে। কনভেনশন এবং প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশেষ পরিস্থিতি এবং এলডিসির প্রয়োজন অনুযায়ী ‘বিশেষ করে হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর’ সাধারণ তবে পৃথক দায়বদ্ধতার নীতিকে স্বীকৃতি দেয় এবং জলবায়ু সংক্রান্ত অর্থায়নের প্রতিটি বিতরণ ব্যবস্থায় এ স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।

শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্থিতিস্থাপকতা ও অভিযোজনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের কেবল প্রাক-শিল্প পর্যায়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে অনেক দেশের মধ্যে আগ্রহের অভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও বোঝাপোড়ায় বিশ্বাসী এবং এজন্য জাতিসংঘ সবচেয়ে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলন, আমরা মনে করি পরিবেশের আরও অবনতি বন্ধে আমাদের কাছে কিছু কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া রয়েছে যেমন প্যারিস চুক্তিসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া। আমাদের সম্মত হওয়া এসব বিধানগুলোকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির নীতি সব আলোচনায় গুরুত্বসহকারে থাকা উচিত। সেই সাথে পর্যালোচনার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতির নীতি ‘ওয়ার্শো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া’কে আরও শক্তিশালী রূপ দিতে হবে। দৃশ্যত জলবায়ু অর্থায়নে বৈশ্বিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর—জটিল ও সর্বোপরি অপর্যাপ্ত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত