জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সৃষ্টি হয়েছে ষড়যন্ত্র করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৪

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট ও ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। কেমন নির্বাচন তারা করেছিল। সেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। তাদের কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা।

আর কখনও কোনো হায়েনার দল বাংলাদেশের মানুষের বুকে চেপে বসতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে তারা আর কখনও এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সৃষ্টি হয়েছে ষড়যন্ত্র করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দলগুলো সৃষ্টি হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। এই দলগুলো মাটি থেকে গড়ে ওঠেনি। কোনো বিরোধী দলে থেকেও গড়ে ওঠেনি। এ দলগুলো মানুষের কথা চিন্তা করে গড়ে ওঠেনি। মানুষের জন্য কাজ করা, মানুষের উপকার করা, এগুলো তারা বোঝে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া একটা নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনও দল অংশ নেয়নি। সেটা একটা সাজানো নির্বাচন ছিল। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি নির্বাচন করলো। যেখানে বোধ হয় দুই শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন করে নিজেকে তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিলো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সেই ক্ষমতায় বেশি দিন থাকতে পারেনি। ভোটচুরির কারণে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হয়ে, ৩০ মার্চ তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণের কল্যাণ কীসে হবে সেই চিন্তা করতে হবে।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা অব্যাহত থাকবে। কারণ জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ আমরা বিফলে যেতে দেব না। এই টাকা জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে। কারও ভোগবিলাসের জন্য নয়, কারও ভোগবিলাসের জন্য এই টাকা ব্যয় হবে না।

তিনি বলেন, আসলে টাকা বানানো একটা রোগ। এটা একটা অসুস্থতার কারণ। একবার যে টাকা বানাতে থাকে তার শুধু টাকা বানাতে ইচ্ছে করে। ওই টাকার ফলে ছেলেমেয়ে বিপথে যাবে। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নষ্ট হবে। সেটা তার দেখারও সময় নেই। শুধু টাকার পেছনে ছুটছে তো ছুটছেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন দুর্নীতির কারণে কমে গিয়েছিল। আমরা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। তাদের কাজই হলো দুর্নীতি করা, লুটপাট করা আর মানুষকে নির্যাতন করা। হাওয়া ভবন খুলে লুটপাট করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। পাকিস্তানি আমলের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। জাতির পিতা বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত