৯৯৯’র মাধ্যমে ৫৮ লাখ মানুষ সেবা পেয়েছেন: আইজিপি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৮

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কয়েক কোটি কল রিসিভ করেছি। এর মধ্যে ৫৮ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রতিটি ডেস্ক সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকে। সেখানে কর্মরতরা সবাই কলের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন।’

আজ বৃহষ্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পঞ্চবটীতে কমিউনিটি ব্যাংক পঞ্চবটি শাখার উদ্বোধন' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, ‘জনগণকে নিয়ে দেশের সোশাল ক্রাইম দূর করতে আমরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ খুলেছি। এটি চালু হওয়ার পর দুই বছরের মধ্যে আমরা পুলিশি, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা দিতে পারছি। এর মধ্যে অনেকগুলো অপরাধ হওয়ার আগেই আমরা তা উদ্‌ঘাটন করতে পেরেছি। জনসেবায় নানা কর্মকাণ্ডে আমাদের ১ শ'টি ডেস্ক রয়েছে। যেটি আমরা ৫ শ সেন্টারে উন্নীত করতে চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই দেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এ জন্য আমরা আপনাদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে চাই আমাদের সেবা। বছরখানেকের মধ্যে দেশের সব জেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের সেবা।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আমাদের ওপর নির্ভর করেন। আপনাদের সম্পদ আমানতের নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। যদি এই দায়িত্ব আমাদের দিয়ে আপনারা এ ব্যাংকের মাধ্যমে আসেন তাহলে আপনাদের আমানতের নিরাপত্তা দেব। আপনার আমানত আমাদের কাছে সুরক্ষিত থাকবে সে ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিবছর যেসব লভ্যাংশ আসে। সেখান থেকে আমাদের লক্ষাধিক পুলিশ সদস্যর পরিবারের কাছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এখানে একজন কনস্টেবলের যত পরিমাণ টাকার শেয়ার রয়েছে, আইজিপিরও তত পরিমাণ শেয়ার রয়েছে। এটি একটি অন্যরকম দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ রুখে দিয়েছি ঠিক তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও আমরা লড়াইয়ে নেমেছি। একজন মাদকসেবী শুধু তার পরিবার, সমাজের জন্য বোঝা নয় দেশের জন্যও বোঝা। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেখানেই আমরা কাজ করছি। এটি নিয়ে সামনে আরো বেশি কঠোর হব আমরা। এর মধ্যে যারা মাদকসেবী হয়ে গেছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করছি আমরা।’

আইজিপি আরো বলেন, ‘পুলিশের সদস্যরা দেশের জন্য যেসব ভূমিকা রাখছেন তার জন্য দেশবাসী আজ বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে এ কমিউনিটি ব্যাংক। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের পুলিশ এবং এ ব্যাংকটিও জনগণের ও আপনার। মাত্র দুই মাস আগে এ ব্যাংকের উদ্বোধন করা হয়েছিল। এ দুই মাসে আমরা ছয়টি শাখার অনুমোদন পেয়েছি ও উদ্বোধন করেছি। প্রতিটি উদ্বোধনেই এত মানুষ ব্যবসায়ীরা ছিলেন, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এ ব্যাংকটি আপনাদের ব্যাংক আর আমরা আপনাদের জন্য।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, এফবিসিসিআয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহসভাপতি অমল পোদ্দার, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাসিট্রর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল প্রমুখ।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত