ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৫০

সাহস ডেস্ক

ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ঢাকা নগরীর বায়ুদূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, কীভাবে জনগণকে বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত করতে পারি সেজন্য এ সভা ডাকা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি-বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস-হাইওয়েসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের বায়ুদূষণের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের সময় পানি ছিঁটানো, নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে না রাখা ও নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বেষ্টনির মধ্যে আছে কিনা সেটি দেখতে হবে। এ সমস্যা রোধে মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের উৎস নিয়ে চলতি বছরের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস হচ্ছে ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণ কাজ। আট বছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা যায়, ২০১৩ সালে দেশে ইটভাটার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৯৫। পরে ২০১৮ সালের পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপে দেখা যায় দেশের ইটভাটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৯০২টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৮৭টি ইটভাটা ঢাকা বিভাগের মধ্যে গড়ে উঠেছে। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে দেশে মোট যানবাহনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৭। যা ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪৷

মন্ত্রী আরও বলেন, ভবন ও অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ উন্মুক্তভাবে করার ফলে শহরের বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বাড়ছে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত