জেএমবির অস্থায়ী আমিরসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৪ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আবু রায়হান মাহমুদ, মো. হাবিবুর রহমান ও রাজিবুর রহমান। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে আবু রায়হান জেএমবির অস্থায়ী আমির।

রবিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) রাজধানীর ভাটারার সাইদনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। 

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, তারা পার্বত্য অঞ্চলে জমি লিজ নিয়ে পুরনো জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলেছিল। সেখানে তারা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতো।

তিনি বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দীর্ঘদিন ধরেই নব্য জেএমবি ও পুরনো জেএমবির ওপর বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রেখেছিল। এরই একপর্যায়ে রবিবার রাজধানীর ভাটারার সাইদ নগর এলাকা থেকে জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পুরনো গ্লোবাল জামাতুল মুজাহিদিনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অস্থায়ী আমির আবু রায়হান রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৫০টি ডেটোনেটর, জিহাদি বই, একটি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবু রায়হান টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা অবস্থায় ২০১০ সালে মৃত তালহা এবং মৃত ডা. নজরুল-এর মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করেন। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা এবং বিশ্বস্ততার কারণে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি কক্সবাজারে গিয়ে লেখাপড়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দাওয়াতি শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করে। ওই সময় তালহা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ১ ব্যাগ কমান্ডো ছুরি আবু রায়হানকে দেন। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সংগঠনের সিদ্ধান্তে গ্রেপ্তারকৃত আবু রায়হান জঙ্গি খোকনের চাচাতো শালিকে বিবাহ করেন। আবু রায়হান ওই ছুরির ব্যাগ কক্সবাজারের নুরুল হাকিমকে দেন।

গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান (৩৭) জেএমবির ইসাবা গ্রুপের প্রধান হিসেবে সংগঠন পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করেন। তিনি গত বছরের ২৯ মার্চ দক্ষিণখান থানার পীর সাহেবের বাড়িতে ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পুনরায় জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেন।