মিয়ানমারের অযৌক্তিক অপ্রচার বন্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:১২

সাহস ডেস্ক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর প্রচারে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অপ্রচার বন্ধ করতে হবে বলে এক বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিয়ে মনগড়া তথ্যের অব্যাহত সমাবেশ, তথ্যের অপব্যবহার, অসমর্থিত দাবি এবং অযৌক্তিক অভিযোগ করছে। বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গা সংকটকে ইচ্ছাকৃতভাবে স্থানান্তরিত করতে মিয়ানমার সরকার রাখাইনে পরিবেশ বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা এড়াতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি না করে মিয়ানমার অব্যাহতভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে। গত ১৫ নভেম্বর মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের মুখপাত্র এক প্রেস কনফারেন্সে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অসহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া নস্যাতে আরেকটি উদ্যোগ তৈরি করেছেন।

এছাড়াও তারা রোহিঙ্গা নৃশংসতার জন্য দোষীদের জবাবদিহিতার বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভয়ে কড়া সমালোচনার আশ্রয় নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারে একের পর এক শাসন ব্যবস্থা কর্তৃক নিয়মতান্ত্রিক বঞ্চনা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ফলে হয়েছিল। বর্তমান সরকার কর্তৃক এই সংকটের সূত্রপাত মিয়ানমারে। সুতরাং সমাধানটি পুরোপুরি সেখানেই রয়েছে। সংকট দীর্ঘায়িত করার জন্য মিয়ানমার ব্যতীত অন্য কারওই দায়বদ্ধ হওয়া উচিত নয়। প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করায় বাংলাদেশের কোন আগ্রহ নেই। রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ে স্বদেশে প্রত্যাবাসন করতে বাংলাদেশের আন্তরিকতা নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অতীতে হতাশাব্যঞ্জক অভিজ্ঞতা এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জড়িত হয়েছে, প্রত্যাবাসনের সময় দুটি অধ্যায় শেষ করেছে। দ্বিপক্ষীয় উপকরণ অনুসারে রাখাইনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা, সুরক্ষা, নাগরিকত্ব, চলাফেরার স্বাধীনতা, মৌলিক সেবা ও জীবিকা নির্বাহসহ মূল কারণগুলির মোকাবিলায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও পুনরায় শুরু করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করায় মিয়ানমারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রোহিঙ্গারা তাদের উৎস স্থান বা তাদের পছন্দের যে কোনও নিকটতম জায়গায় ফিরে যাক। তদুপরি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যথাযথ পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে উৎসাহিত করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মিয়ানমারের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত