অপপ্রচারে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:২১

সাহস ডেস্ক

অপপ্রচারে কান না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী চাল নেই, লবণ নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যাহোক এসব মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং বীরশ্রেষ্ঠদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পেঁয়াজ নাই, লবণ নাই, এটা নাই, সেটা নাই নানান ধরনের কথা প্রচার হয়। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। আমি জানি এটা করবে, এটা স্বাভাবিক। সেটাকে মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা সেভাবেই চলছি। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ এখন একটি খাদ্য-উদ্বৃত্ত দেশ।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশ। আমাদের মাছ উৎপাদন বেড়েছে, তরিতরকারি উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য ও পুষ্টির দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যথাযথ কাজ হাতে নিয়েছি এবং এটা আমরা অব্যাহত রাখবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছি। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, তাদের জমি দিচ্ছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে পুনর্বাসন করছি।

তিনি বলেন, গরিবের সন্তানরা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সেজন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েদের বই দেয়া হচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারে, তারা যেন এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে, সেজন্যই আমরা এ কাজগুলো করছি।

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়ে, নাতিপুতি অথবা এলাকাবাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন জানতে পারে যে বাঙালি কখনও পরাজিত হতে পারে না।

অনুষ্ঠানে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, বীরত্বের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১০১ জন অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ জন-সেনাবাহিনীর আট, নৌবাহিনীর দুজন এবং বিমানবাহিনীর তিন সদস্যকে শান্তিকালীন পদক ২০১৮-১৯ (শান্তি পদক) হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দীক এবং তিনটি বাহিনীর প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত