মহেশখালীতে অস্ত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন শতাধিক ‘জলদস্যু’

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:১৫

সাহস ডেস্ক

সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজারে মহেশখালীতে নিজেদের অস্ত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ শতাধিক ‘জলদস্যু’। একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় এসব ‘জলদস্যু‘ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আত্মসমপর্ণ করতে সম্মত হয়েছেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন তারা।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, উপজেলার কালারমার ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জলদস্যুদের এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। এলাকায় প্রায়ই খুন, লুটপাট, দস্যুতা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম ঘটে থাকে।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহেশখালীর ওইসব দুর্গম এলাকায় অসংখ্যবার অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারাখানা আবিষ্কারসহ জলদস্যুদের গ্রেপ্তার করেছে। এবার সন্ত্রাসীরা নিজেরাই এসব অপকর্ম ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।

মধ্যস্থতাকারী বেসরকারি টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম এম আকরাম হোসাইন জানান, মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কুখ্যাত বেশ কয়েকটি জলদস্যু বাহিনীর সর্দার ও সদস্যরা আগামী শনিবার স্বদলবলে আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণকারীদের সংখ্যা আপাতত একশোর মতো হলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ আত্মসমর্পণে আগ্রহী অনেক জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণের অপেক্ষায় ছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্য, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত