ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫৭ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৩

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ট্রেন দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে আমাদের রেলের যারা কাজ করেন তাদের সতর্ক করা উচিত। সেইসঙ্গে যারা রেলের চালক তাদেরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমরা বুলবুলের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এখানে দুর্ঘটনা ঘটে গেল।

শেখ হাসিনা বলেন, ঠিক জানি না, কেন শীত মৌসুম এলেই আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই রেলের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে।

এর আগে জেলা প্রশাসক হায়াতউদদৌলা খান জানিয়েছিলেন, সিগন্যাল অমান্য করে তূর্না নিশিথা ট্রেনটি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ওপর আছড়ে পড়ে। উদয়ন ট্রেনটি ক্রস করছিল বলে ধীরগতিতে ছিল। দুটো ট্রেন ক্রস করার সময় সম্ভবত সিগন্যালের ভুল বোঝাবুঝিতে একটি ট্রেনের সাথে আরেকটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। হতাহতের উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। মৃতদের নিকট আত্মীয় স্বজন খোঁজা হচ্ছে, পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের লাশ বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রে আছে। তাদের মধ্যে তিনটি শিশু, তিনজন নারী ও চারজন পুরুষ।

যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (২৮) এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম।

কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজনের লাশ আছে। তাদের মধ্যে একজন নারী। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বাকি যে দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার সোহেল মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে আদিবা আক্তার এবং একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে আলী মো. ইউসুফ।