‘বাংলাদেশের মতো কম ব্যয়ে উচ্চ শিক্ষা পৃথিবীর কোথাও নেই’

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৭

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মতো কম ব্যয়ে উচ্চ শিক্ষা পৃথিবীর কোথাও নেই। উসকানি দিয়ে বড় বড় কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।’

আজ ৯ অক্টোবর (শনিবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা দিচ্ছে সরকার। সরকারের দেওয়া টাকা ইউসিজিতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বা অন্য সবকিছু শিক্ষকরা পাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী মাসে কত টাকা খরচ করেন? বড় জোর দেড়শ টাকা। কিন্তু এই টাকায় কি উচ্চ শিক্ষা হয়? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখুন প্রতি সেমিস্টারে কত টাকা লাগে। আর আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কত লাগে? পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ে এই যে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয় প্রতি শিক্ষার্থীদের পেছনে, সব টাকা সরকার দেয়। সেখানে শৃঙ্খলা থাকবে। উপযুক্ত শিক্ষা পাবে এবং নিজেদের জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন আমি দেখলাম যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না কি আমরা বুঝি না। তো যারা কথা বলছেন তারাই বোঝেন! বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন তারাই বোঝেন। আর পড়াশোনা নষ্ট করে স্ট্রাইক করে কর্মঘণ্টা নষ্ট করবেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় ব্যাহত করবেন। তারা বোঝেন আর আমরা বুঝব না। এটা তো হয় না। অর্থ সরকার দেবে, সব রকম উন্নয়ন প্রকল্প সরকার করবে, সেটা নিতে ভালো লাগবে আর সরকার সেখানে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এটা কখনো হতে পারে না। কথায় বলে, স্বাধীনতা ভালো তবে তা বালকের জন্য নহে। এটাও মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং আমি বলব, এই রকম বালকসুলভ কথাবার্তা না বলাই ভালো। বরং ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে তাদের সেই সময় যেন নষ্ট না হয়। উপযুক্ত সময়ে ভালো রেজাল্ট করবে, সেটাই আমরা চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উসকানি দিয়ে ছাত্রদের বিপথে নেওয়া আর এখানে মুখরোচক কথাবার্তা এটা কেউ কখনো মেনে নিতে পারে না। আর যদি সেটা করতে হয় তাহলে নিজেদের অর্থ নিজেরা জোগান দিতে হবে। নিজেদের বেতন নিজেদের জোগাড় করতে হবে। নিজেদের খরচ নিজেরা চালাবে। সরকার সব টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেবে। কারণ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, টাকা পাবলিক দেবে, সরকার কেন খরচ করবে। সেটাও তাদের চিন্তা করতে হবে তারা কোনটা করবে।’

তিনি বলেন, ‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে কথা নেই, বার্তা নেই-ব্যবস্থা নেয়ার পরেও অহেতুক অভিযোগ তুলে। সেটা সত্য অভিযোগ না মিথ্যা অভিযোগ? আমাদের আইনে আছে কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা অভিযোগ আনে আর তা যদি প্রমাণিত না হয়; তাহলে অভিযোগকারীর সাজা হবে। কাজেই যারা কথা বলছেন আইনগুলো ভালো করে দেখে নেবেন।…কিছু কিছু পাকা পাকা কথা শুনি, এজন্য আমরা এই ধরনের কথা বলতে বাধ্য হই।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত এক দশকে যে পরিবর্তন হয়েছে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এমন উন্নয়ন আর হয়নি, এই সময়ে শুধু সামরিক ক্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এদের কথা বলতে কখনো শুনিনি। বরং তাদের পদলেহন করতে দেখেছি। এটা হলো বাস্তব।’

এর আগে সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত