দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৭ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:১৩

অনলাইন ডেস্ক

দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন তাদের কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। তাদের তথ্য দিতে হবে। তারা যদি তথ্য দিতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব। কিন্তু যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে না পারেন তাহলে তাদেরও সাজা হবে। যে মিথ্যা অভিযোগ করবে, তার শাস্তি হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় নষ্ট করবেন, ক্লাস চলতে দেবেন না, ভিসির বাড়িতে, অফিসে আক্রমণ, ভাঙচুর করবেন, দিনের পর দিন ক্লাস বন্ধ থাকবে এটা তো হয় না। প্রমাণ করতে হবে। আইনেও আছে মিথ্যা অভিযোগ করলে আইন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা কিন্তু সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যারা কথা বলছে, বক্তৃতা করছে, আন্দোলন করেছে সব রেকর্ড থাকবে। তারা যদি প্রমাণ করতে না পারে, মিথ্যা অভিযোগের জন্য তার শাস্তি হবে। এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, সেটা কিন্তু আমরা বরদাসত করবো না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্তশাসন আছে কিন্তু প্রতিবছর আমরা ভর্তুকি দেই। এরপরও ক্লাস বন্ধ থাকে, এটা কেন? বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনার পর যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নিলাম। এরপরও আন্দোলন কেন। এরকম চললে ক্লাস বর্জন করলে সাথে সাথে এক্সপেল করতে হবে। ক্লাস কেন বন্ধ থাকবে? দিনের পর দিন আন্দোলন আর ক্লাস বন্ধ, কেন?

তিনি আরও বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হলেই আন্দোলন কেন? অন্য শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট কেন? দেশে শিক্ষার একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। সেটা নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে। দেশের মানুষের সচ্ছলতা এসেছে, উন্নয়ন এসেছে। তাহলে অভিযোগটা কী? আমরা তো কাজ করে যাচ্ছি। সবকিছু ইচ্ছেমতো তো হবে না।