শহীদ মিনারে খোকার মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪২ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:১১

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়েছে। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খোকার মরদেহবাহী গাড়িটি পৌঁছায়। সেখানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়েরুল কবির খান জানান, খোকার মরদেহ বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনের একটি বিমান সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে দলের পক্ষ থেকে খোকার মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ইকবাল মাহমুদ টুকু।

প্রসঙ্গত, সাবেক মন্ত্রী খোকা নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকা গত ১৮ অক্টোবর থেকে নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

খোকা চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যান এবং ২০১৭ সালে তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায় জন্ম নেয়া খোকা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন এবং পরে বিএনপিতে যোগ দেন ও দলের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি হন।

খোকা ১৯৯১ সালে সূত্রাপুর-কোতোয়ালি আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে তাকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বানানো হয়। তিনি ১৯৯৬ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে আবারও সংসদ সদস্য হন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে ২০০২ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি প্রায় ৯ বছর ধরে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে সাবেক মন্ত্রী খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন, কিন্তু চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতার কারণ শনাক্ত করতে পারেননি। সেখান থেকে পরে ২০১৪ সালের ১৪ মে চিকিৎসা করানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা।