অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও চার

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৮

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তারা সবাই রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ইনস্টিটিউট শাখার ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।

রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিভিন্ন সময়ে চালানো অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস। তারা কেউই এজহারভুক্ত আসামি নন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনির অধিবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক (২২), শাহ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান হিরা, মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাধুর মোড় এলাকার অধিবাসী নোমানের ছেলে নাবিউল উৎস (২০) এবং খোন্দকার নজরুল ইসলাম (২৩)।

সূত্র জানায়, এর আগে শনিবার রাতে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৫০ জন অজ্ঞাত শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন। চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের সনাক্ত মতে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ কুমার জয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে ছাত্রলীগের আর কারও বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। ২ অক্টোবর বিকালে অধ্যক্ষ তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি সাঁতরে পাড়ে উঠে নিজের প্রাণ রক্ষা করেন।