কোচিং বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে মারধরের শিকার সাংবাদিক

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:২০

সাহস ডেস্ক

আজিমপুরের চায়না গলিতে অগ্রগামী কোচিং সেন্টারে কোচিং বাণিজ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণের সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার পিংকি আক্তার ও ক্যামেরা পারসন মনজুর রহমান মারধরের শিকার হয়েছেন। এসময় তাদেরকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে কোচিং সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমুপর শাখার সহকারী শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটায়।

এই ব্যাপারে সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পিংকি আক্তার বলেন, কোচিং বন্ধ থাকার পরও কানিজ ফাতেমা নিয়মিত কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। এই ঘটনার একটি প্রতিবেদন করতে আজিমপুরে আগ্রগামী কোচিং সেন্টারে যাই। সেখানে কানিজ ফাতেমার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি প্রথমে দৌড়ে পালিয়ে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মেয়ে ও নিজে ফিরে আসেন লোকজন নিয়ে। আমাদের মারধর করতে করতে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয়ে ক্যামেরা।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফওজিয়া রেজওয়ান।

উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা উপলক্ষে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার পরিচালনা নিষিদ্ধ রয়েছে। সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করে আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) কানিজ ফাতেমা নিয়মিত কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত