সড়ক আইন কার্যকর হচ্ছে আজ

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১০ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৯

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার উত্তরাধিকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রেখে এই আইন বাস্তবায়ন করা হলো। তবে আইনে নেই ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির জন্য কোনো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।

আইনে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার নিহত হলে তার উত্তরাধিকার আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ বা চিকিৎসার খরচ পাবেন। এ জন্য গঠন করা হবে আলাদা ট্রাস্টি বোর্ড। ট্রাস্টি বোর্ড গাড়ি মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় ও বিভিন্ন অভিযানে জরিমানা বাবদ আদায় করা অর্থ দিয়ে এই তহবিল গঠন করবে।

তবে শ্রমিক ফেডারেশনগুলো বলছে, নতুন আইনে যে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে তা অতিরিক্ত। আইনে কেউ গুরুতর আহত বা কারো প্রাণহানি হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা হয়েছে সেক্ষত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এবং তা হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে বলে বলা হয়েছে আইনে। এতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বিচারকাজ পরিচালিত হবে।

নতুন এই আইন বলছে, যানবাহনে ওয়েট স্কেলে অতিরিক্ত পণ্য বহন ধরা পড়লে জরিমানা আদায় করা হবে পরিবহণের কাছ থেকেই। কিন্তু শ্রমিক ফেডারেশন বলছে, এই জরিমানা আদায় করা উচিৎ বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে। অতিরিক্ত ওজনবাহী গাড়ির জরিমানা চালকের কাছ থেকে আদায় করা উচিত নয়।

আর্থিক সহায়তা তহবিল পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যানের অধীনে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে। তাতে মহাসড়ক পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার ১১ জন প্রতিনিধি থাকবেন। এটি স্বশাসিত সংস্থা হবে। সংস্থাটি মামলা করতে পারবে। এই বোর্ডের কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। তবে অন্যত্র শাখা থাকতে পারে। ট্রাস্টি বোর্ড সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত বা নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণ ও তা মঞ্জুর করবে। আর এ পুরে প্রক্রিয়াটি তদারক করবে বোর্ড। এ তহবিল জরিমানা ও চাঁদা আদায় ছাড়াও সরকারি অনুদান, মালিক সমিতির অনুদান, মোটর শ্রমিক সংগঠনের অনুদান বা অন্য কোনো বৈধ উৎস থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে গঠন করা হবে।