অন্য বন্দীদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে বিএনপি নেত্রী: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী অন্য বন্দীদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করছেন। খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী একজন গৃহপরিচারিকা কারাগারে তাঁর সঙ্গে রাখা হয়েছে। তার মানে খালেদা জিয়াকে কারাগারে সে সেবা করছে।’

গতকাল ২৭ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায় স্থানীয় হিলটন হোটেলে আজারবাইজানে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারের ইতিহাসে বা কোনো দেশে এমন নজির নেই, কোনো নিরপরাধ গৃহপরিচারিকা একজন বন্দীর সঙ্গে কারাগারে অবস্থান করে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই সুবিধা ভোগ করছেন। খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে একটি কেবিনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ, কারণ তারা তাঁর মুক্তির দাবিকে আন্দোলনের ইস্যু বানাতে এটা বলছে। কিন্তু বিএনপি তাঁর মুক্তির আন্দোলন বা জনমত গঠন করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।’ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা মামলায় সাজা হয়েছে। আরও মামলা চলমান রয়েছে। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে মানি লন্ডারিং, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে দেশে দুর্নীতির কোনো সীমা ছিল না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের হীন স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধীরা অপরাধীই, আমরা অপরাধীদের অপরাধীর দৃষ্টিতেই দেখব এবং আমরা সেটাই দেখার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘অন্যকে শিক্ষা দেওয়াটা নিজের ঘর থেকেই শুরু করা উচিত। আমি সেটাই করছি (দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ) এবং আমি এটি অব্যাহত রাখব।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, সে যে-ই হোক এবং যে দলই করুক না কেন। যদি আমাদের দলের কেউ অপরাধে জড়িত হয়, সে তৎক্ষণাৎ শাস্তি ভোগ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সরকার সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অভিযানগুলোতে আমরা ভালো ফল পাচ্ছি। কারণ, মাদক একটি ব্যক্তি ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। আমি ক্ষমতায় আসার পর সর্বাত্মকভাবে দেশের ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী।