পদ্মাসেতুর অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১০

২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর সব পিলারের পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ সমাপ্ত। ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩২টি পিলারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পদ্মাসেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তো আসলে মরেই গিয়েছিলাম। অনেকটা অলৌকিকভাবে ফিরে এসেছি। আল্লাহর ইচ্ছা হলে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্ত হয়তো দেখে যেতে পারবো। এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই কাজটি যত দ্রুত শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে মাওয়ায় এ পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। যার মধ্যে ১৪টি পিলারে স্থাপন করা হয়েছে। ১৫তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারে স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ৪টি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ১০টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায়। পদ্মার মতিগতি ও মন মেজাজের ওপর নির্ভর করবে স্প্যান বসবে কবে।

মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে বাকি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে ৩৬১টি স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের পাইলিং পিয়ার ক্যাপের কাজ শেষ। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরায় ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৪৩৮টি সুপার ‘টি গার্ডার’ প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে ১৫৫টির কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ৫৬টি জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৮৪টি আই গার্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে জাজিরায় ৪২টি স্থাপন করা হয়েছে।

সেতু মন্ত্রণালয় সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এমইও স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাজিরা প্রান্তে আধুনিক ও উন্নত মানের মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে। এ জন্য সব মিলিয়ে ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। সেতু মন্ত্রণালয় এমইও মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গবাদি প্রাণির প্রজনন ও জাত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে জিডিপিতে উন্নতি রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। এই জায়গাটুকু আমাদের পদ্মা সেতুর কোনো কাজে লাগবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত