মহাসড়কে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩১

মদ বা নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো চালকদের শনাক্ত করতে বিশেষ একটি ডিভাইস নিয়ে মহাসড়কে অভিযান শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। জানা যায়, চীন থেকে আমদানি করা এ যন্ত্রটি সারাদেশের হাইওয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। যাতে দুর পাল্লার বাস-ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চালানোর সময় চালকদের পরীক্ষা করা যায়।

গত শনিবার (১২ অক্টোবর) ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নামের ওই যন্ত্র দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড মীরসরাইয়ের বিভিন্ন স্পটে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

এই ব্যাপারে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে মহাসড়কে অভিযানের খবর শুনে ইতোমধ্যে অনেক চালক সচেতন হয়েছেন। প্রথম দিন অভিযানে কয়েকজন চালকের মুখে অ্যালকোহল বা মাদক পাওয়া গেলেও প্রাথমিকভাবে আমরা তাদের নেশাগ্রস্থ হয়ে যানবাহন না চালানোর জন্য সর্তক করে ছেড়ে দিয়েছি।

হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, এই প্রথমবারের মতো ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্র নিয়ে অভিযানে নেমেছেন তারা। মুখের বাতাস শুঁকে যন্ত্রটি ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তি মদ্যপ কি না, তা শনাক্ত করতে পারে।

হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্য জানান, ফলাফল ‘হ্যাঁ’ হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে। তখন এ কাগজ দিয়ে মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

পুলিশ জানায়, অনেক মাদকসেবী চালক মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ী চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা রোধে এবং মাদকাসক্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ আমদানি করা হয়েছে। 

‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা বড় মুঠোফোন সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশসহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে ওঠে ‘নো’।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহেল সরকার বলেন, গতকাল থেকে তারা মীরসরাইয়ে অভিযান শুরু করেছেন। প্রথম দিন মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের ২৫ জন চালককে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোনো মদ্যপ চালক পাওয়া যায়নি।

সূত্র: ইউএনবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত