সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪১

সরকারি চাকরি আইনের সাতটি ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে ছয় সচিব ও স্পিকার বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। নোটিশে এ আইনের ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯(১, ২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) ও ৫৫ এর বিধান বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ওই আইনি নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য এবং বিভিন্ন আইনের শর্তাবলির ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়। আইনের ৫(২)–এ সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলির তারতম্যের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনের ২৪(১) ও ৪২(১,২) ধারায় আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননা আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে আইনের ৩৯ ধারায় ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আইনের ৫(১) ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত বা অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। এবং রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রেখে ধারা ৩৫ এর বিধান করা হয়েছে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আইনি নোটিশে বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ওই বিধানগুলো করা হয়েছে। আইনের বিধানগুলো কার্যকর হলে সরকারি কর্মচারীরা অর্জিত অধিকার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব বরাবরে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে এ সাত ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যথায় উচ্চ আদালতে মামলা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত