আমার ছেলে নির্দোষ, তাকে মুক্তি দিন: সম্রাটের মা

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মা সায়েদা চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাকে বাঁচতে দিন।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সম্রাটের মা। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ‘জীবন রক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তার ছেলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সম্রাটের মা। তিনি বলেন, সম্রাটের সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ছাড়া ‘কোনো ভুলত্রুটি থাকলে’ তা ক্ষমা করে দিতেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাই।

সম্রাটের মা সায়রা খাতুন চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৯৯ সালে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর অধীনে সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়। তখন থেকে সম্রাট আজ পর্যন্ত অসুস্থ শরীর নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর সম্রাটের ভালভ প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল সিঙ্গাপুরে। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও রক্তদান কর্মসূচি থাকায় সিঙ্গাপুরে যাওয়া হয়নি তার।

তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর আমার সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় সে স্থান থেকে কোনো প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম, তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রায় চার ঘণ্টা তার অফিসে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে।

সায়েদা চৌধুরী আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে সম্রাটকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে। সম্রাট কার আক্রোশের শিকার সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সম্রাটের ভাই রাশেদ চৌধুরী বলেন, যখনই সম্রাট নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন তখনই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে।