রামগতির একমাত্র ডাকঘরে বেহাল অবস্থা

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগতির আদি উপ-ডাকঘর এখনো চলছে ভাড়া ঘরে!

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:১৭

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রথম প্রতিষ্ঠিত ডাকঘর রামগতির হাট (৩৭৩২)। স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর রামগতি উপজেলার একমাত্র ডাকঘর, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। অথচ সেই থেকে এখন পর্যন্ত আদি ডাকঘরটি চলছে ভাড়া ঘরে।

একসময়ের জনপ্রিয় ডাকঘর এখন অনেকটাই অবহেলিত। জনগণের সেবাদনকারী এই ডাকঘরের ব্যাপারে সবাই উদাসীন। রামগতির হাট সাব-পোস্ট অফিসের অবস্থা একবারেই করুণ। টিনশেড ঘরে চলছে সেবার কার্যক্রম, নেই কোন ভাল লকার, নেই আসবাবপত্র, নেই ডিজিটাল পাল্লা, একটু বৃষ্টিতেই পোস্ট অফিসের আঙিনায় পানি জমে কাদামাটি হয়ে যায়। গ্রাহকদের এসব পেরিয়ে পোস্ট অফিসে ঢুকতে হয়। 

ভাড়া বাসার মধ্যে রামগতির হাট উপ-ডাকঘরটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে, কিন্তু নতুন প্রজন্ম উপ-ডাকঘরটির অবস্থান সম্পর্কে অজানা। 

বর্তমানে ডাকঘরের সেবার পরিধি বেড়েছে। স্বল্প খরচে দেশ-বিদেশে চিঠি, পার্সেল পাঠানো ও বিলিসহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানি ট্রান্সফার সেবাও দিচ্ছে এই ডাকঘর। এছাড়াও সঞ্চয় হিসাব, মেয়াদি হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বীমা ও ই-সেন্টারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ নানান সেবা প্রদান করে থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র সু-পরিচিত স্থানে সুন্দর পরিবেশে নিজস্ব ভবনে সরে না আসায় ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। কেননা আবাসিক বাসার মধ্যে হওয়ায় ডাকঘরটি অনেকের অজানা আবার ডাকঘরের অবস্থান একটু দূরে হওয়ায় অনেক মধ্যে অনিহাও আছে। ডাকঘরটি টিনশেড ভাড়া বাসায় হওয়ার কারণে আর্থিক লেনদেন করতে অনেকের মনে ভয়-ভীতি বিরাজ করছে। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

রামগতির হাট উপ-ডাকঘরের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর ডাকঘর উপ-বিভাগের পরিদর্শক মো. খালেক হোসেন জানান, স্থানীয় পর্যায়ে উপযুক্ত স্থানে কেউ জমি দান করলে কিংবা খাস ভূমির ব্যবস্থা হলে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি। 

এ বিষয়ে নোয়াখালী ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নতুন ভবনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন নিদের্শনা নেই। এসকল কাজ অধিদপ্তরের, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের নতুন ভবন নির্মানের কাজ বাস্তবায়ন করে থাকেন।

রামগতিবাসীর প্রত্যাশা দ্রুত রামগতির হাট উপ ডাকঘরের নিজস্ব ভবন সুন্দর পরিবেশে উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা হবে। তাহলে সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়ে যাবে। সাধারণ জনগণ পাবে উপযুক্ত সেবা, সরকার পাবে রাজস্ব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত