বুয়েটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৪

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার ও অবিলম্বে শাস্তি দেয়াসহ ৮ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টার দিকে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন। সাড়ে ১০টার দিকে তারা সাত দফা দাবির কথা জানিয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে শেরে বাংলা হলের ভেতরে প্রদক্ষিণ করে আহসান উল্লাহ হল,  কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনের চত্বর ঘুরে ফের শহীদ মিনারে আসে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. ক্যাম্পাসে নোংরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। ২. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ।৩. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের সকলের ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কার। ৪. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি। ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি তার জবাব সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে দিতে হবে। ৬. ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তার কারণ বিকেল ৫টার তাকে দিতে হবে। ৭. আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর, বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। ৮. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর, বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। ৯. মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত