আবরার রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় মারা গিয়েছেন: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ ময়নাতদন্তের পর একথা জানান।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়না তদন্তের পর আমরা তার সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। মারের আঘাতের জন্যে সে মারা গিয়েছে। আঘাতগুলো দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এটি বাঁশও হতে পারে বা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পও হতে পারে। তার শরীরের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে পেয়েছি, এক্সটেনসিভ ব্রুইস ছিলো। আমাদের ধারণা সেই এক্সটেনসিভ ব্রুইসের জন্যে সে মারা গেছে। তার হাতে, পায়ে এবং পিঠে ব্লান্ট ফোর্স ইনজুরি ছিলো। এর জন্যে তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় সে মারা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুয়েটের শিক্ষার্থী বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকবাজার থানায় নেওয়া হয়েছে।