বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে সম্রাটের ছয় মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২৬

যুবলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে অবৈধ মাদক, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।

রবিবার (০৬ অক্টোবর) র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম ও পরিচালক (মিডিয়া) লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তারা বলেন, সম্রাট আমাদের কাছেই আছে। তাকে আটকের ফুটেজ গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। ক্যাসিনো সম্রাটের গডফাদার কারা সেটিও তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা সম্রাটকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাইব। সম্রাট যে ক্যাসিনোর সম্রাট হয়ে উঠেছেন, তার পেছনের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষক করা, তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, আরমান ও সম্রাটকে যখন কুমিল্লা থেকে আটক করা হয় তখনও মাদক উদ্ধার করা হয়। আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল। এজন্য র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ছয় মাসের জেল দেন। ঢাকায় আনার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে সম্রাটের কাকরাইলের অফিস থেকে একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি বৈদ্যুতিক টর্চার মেশিন, বিদেশি মদ ও ১১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়াও অফিস তল্লাশি করে দুটো ক্যাঙ্গারুর চামড়াও পাওয়া গেছে।

এসময় র‌্যাবের গণসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মিজানুর এসব জিনিস গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান।

বন অধিদফতরে পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস-সাদিক বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণ আইন-বহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য। এ আইনের ৩৪ এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় মাস ও এক লাখ টাকা জরিমানা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত