ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা, ইসির ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন অপরাধে চাকরিচ্যুত বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নামে এনআইডি তৈরিতে ইসির ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই বিভিন্ন অপরাধের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নামধাম গোপন রাখা হচ্ছে।

ভোটার তথ্যের সার্ভারের প্রেজেনটেশন তুলে ধরে এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, আমাদের মূল সার্ভার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। অনেকেই না জেনে বলছেন, ইসির সার্ভারে রোহিঙ্গা ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ইসির মূল সার্ভারে কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। তারা চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গারা টেম্পোরারি সার্ভারে ঢুকেছে। তাদের ৬১ জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি।

তিনি বলেন, যারা এই অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত, তাদের বেশিরভাগই ইসি থেকে আগে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। তারা ইসির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন।

এনআইডির ডিজি বলেন, আমরা শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছি। ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের কেউ জড়িত আছেন কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা চাকরিচ্যুতদের ওপর কঠোর নজরদারি চালানোর জন্যও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বলবো।

ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, আগামীতে কেউ যাতে রোহিঙ্গাদের টেম্পোরারি সার্ভারেও যুক্ত করতে না পারেন, সেজন্য সব কর্মকর্তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিয়েছি। এছাড়া সার্ভারে ঢোকার জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) মেসেজের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।