ভিসি নাসিরের চা আপ্যায়ন ৪০ হাজার টাকা
প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১১
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবি সাবেক শিক্ষার্থী ফোরাম খুলনা’র মুখপাত্র সম্রাট বিশ্বাস।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সম্রাট বিশ্বাস বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে ছাত্রদের বিরোধের সময় ছয়-সাতজনকে চা আপ্যায়ন বাবদ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একই ভাবে ছাত্র কল্যাণ ফান্ড থেকে এক লাখ টাকা অ্যাপায়ন বিল দেখানো হয়। হায়দারাবাদের গাছ আনার কথা বলে যশোর থেকে আনা হয়। কোনো শিক্ষার্থী এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে দুর্নীতিবাজ, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুট, ভিসি কোটা চালু, নারী কেলেঙ্কারি ও ভিসির বাসায় বিউটি পার্লার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলে আখ্যা দেন।
এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বন্ধের মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বহিরাগতরা। এসময় আহত কয়েকজনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে থাকলে হঠাৎ কয়েকজন বহিরাগত এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে বিএনপি-জামায়াতের লোক বলেও আখ্যায়িত করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলবে। ভিসি পদত্যাগ করলেই কেবল আন্দোলন থেকে সরে যাবেন তারা। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।