ল্যাপটপের সংখ্যা জানে না জেলা নির্বাচন কার্যালয়

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৩

চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে থাকা ২১ টি থানা কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধনের কাজ হলেও সেখানে ঠিক কয়টি ল্যাপটপ আছে তা সঠিক তথ্য নেই জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। এমনকি ঠিক কয়টি ল্যাপটপের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না তারও কোনো সঠিক তথ্য নেই সেখানে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জানা যায়, সেখানে খোয়া যাওয়া ল্যাপটপের সংখ্যা ৫ টি। কবে বা কোথা থেকে চুরি হয়েছে তা স্পষ্ট জানা না গেলেও জানা যায়, ২০১৪ সালে ৪ টি ল্যাপটপ খোয়া গিয়েছিল চন্দনাইশ কার্যালয় থেকে। 

এদিকে ল্যাপটপগুলো জাতীয় তথ্য ভান্ডারের সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকলেও কোনো ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও নেই কোনো ধরনের উত্তর। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, এসব ল্যাপটপ গত মাস পর্যন্ত চালু ছিল এবং এগুলো রোহিঙ্গাসহ নানা ভুয়া এনআইডি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। এমন একটি ল্যাপটপ গত সোমবার উদ্ধারও হয়েছে। 

এদিকে ল্যাপটপ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত করতে চট্টগ্রাম পৌছেছে একটি কারিগরি দল। তারা জানাচ্ছেন, খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করে কতটি ভুয়া এনআইডি তৈরি করা হয়েছে, তা বের করা সহজ নয়।

নির্বাচন কমিশনের আইটি বিশেষজ্ঞ মোঃ শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, আগে ল্যাপটপ খোয়া গেলে তা দিয়ে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যেত। ইসির ল্যাপটপগুলোয় একই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হতো, যার জন্য কোনো কর্মচারী সেই সফটওয়্যার অফিস থেকে সংগ্রহ করে সহজে চুরি যাওয়া ল্যাপটপে ব্যবহার করতে পারতেন। এখন ল্যাপটপ খুলতে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া হয়েছে। চুরি যাওয়া ল্যাপটপে কাজ করা আর সম্ভব হবে না।